সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে যাওয়ার কারখানা বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি)। জনরায়ে নির্বাচিত মেয়রের সাথে সক্ষতা গড়ে কয়েক লক্ষ টাকায় দৈনিক মজুরী ভিত্তিক শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ নেয়া কর্মচারীরা হঠাৎ করেই কোটিপতি বনে গেছে।জানা গেছে, ২০১৪ সালে ম্যানেজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মাষ্টার রোলে নিয়োগ পায় বিসিসি’র কামরুননাহার মিলি। অভিযোগ এবং তথ্যের সূত্রমতে প্রথম পর্যায়ে নিয়োগ হয়েও জটিলতার কারনে সে প্রক্রিয়া স্থগিত হবার উপক্রম ঘটলে পরবর্তীতে ৬ লক্ষ টাকার উৎকোচের বিনিময়ে দ্বিতীয় দফায় নিয়োগপ্রাপ্ত হয় বলেও নাম না প্রকাশের শর্তে জানায়।
কর্মচারী মিলি’র পারিবারিক স্বচ্ছতা না থাকায় নিয়োগ দেয় তৎকালীণ মেয়র বলে জানা গেলেও হঠাৎ নিয়োগ হবার বছর কাটতে না কাটতেই আলাদিনের চেরাগের সন্ধান যেন পায় বিসিসিতে কামরুননাহার মিলি। এক বছরের মধ্যেই দৈনিক মজুরী ভিত্তিক কর্মচারী হয়েও তার স্বামী হেলালের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান সহ জমি বাড়ি করায় অঢেল অর্থের উৎসের সন্ধান অনুসন্ধানে মগ্ন হয়ে পরে অন্যান্য কর্মচারীরা। তার সাথের নিয়োগপ্রাপ্ত সহ একাধিক কর্মচারীরা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, প্রতিমাসে ৮ হাজার টাকা বেতন তা আবার নিয়মিত নয় বকেয়া মাসেই দিন পার হওয়া অবস্থায় হঠাৎ করেই নগরীর আমতলা পানির ট্যাঙ্ক এলাকায় বিলাস বহুল বাড়ী স্বামীর ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে মূলধনে বৃদ্ধি পাওয়ার উৎস বিসিসি’র ব্যানার ব্যবহার করা ছাড়া বিকল্প নেই।নারী হবার সুবাদে কৌশলে অবৈধভাবে অর্থের পাহাড় গড়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
তারা আরো জানায় নগরবাসীদের কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহনের অভিনব এক সূক্ষ্ম বুদ্ধি এটে রেজুলেশনে সাবেক এক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে সাক্ষর জ্বাল করে প্রকাশ্যে মহা উৎকোচ বানিজ্য’র কেন্দ্রে পরিনত করেছে বিসিসিকে।এ বিষয়ে শতভাগ সত্যতা পাওয়া গেলেও রেজুলেশন করা সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি শুনে হতভাগ এক প্রকার। জনগনের কাছ থেকে অবৈধভাবে অধিক টাকা গ্রহন করা আইনত অপরাধ যেখানে সেখানে তিনি উৎকোচ বানিজ্যকে বৈধ করার বিষয়টি প্রশ্নই ওঠে না৷
রনজিত কুমার দাস তিনি আরো জানায় তাদের বিষয়টি তদন্ত পূর্বক কতৃপক্ষ অতিসত্বর ব্যবস্থা গ্রহন না করা হলে নগরসেবা কেন্দ্রটি নগরবাসীদের কাছেই আস্তা হারাবে। অভিযুক্ত বিসিসি’র কামরুননাহার মিলির সাথে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি এড়িয়ে বিভিন্নভাবে ক্ষমতাধর উর্ধতনদের দ্বারা নিজের অপরাধ আড়ালের পায়তারা চালায়। বিসিসি’র সচিব ( ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) এ বিষয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানায়।এদিকে বকেয়া বেতনের হিসাব আর অধিক জনবলের ফলে বিসিসি’র বেতনভাতা প্রদান সহ উন্নয়ন মূলক কাজে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় নব নির্বাচিত মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ শপথ গ্রহনের পরে ক্ষমতার চেয়ারে বসে কাজ না করেও বেতন ভোগ করে আসা নগরআাসীদের পকেটকেটে উৎকোচ গ্রহন করে অনৈতিক সুবিধা নেয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তদন্তের মাধ্যমে সত্যতা নিশ্চিত করে ছাটাই করা সহ ব্যাবস্থা গ্রহনে দূর্ণীতি মূক্ত জনগনের নির্ভরযোগ্য জনসেবার প্রতিষ্ঠান বরিশাল সিটি কর্পোরেশনকে গড়বেন বলেও আশা ব্যক্ত করে।
Leave a Reply